খেয়ালি প্রকৃতির ব্যতিক্রমী কাণ্ড!

প্রকাশঃ মে ৫, ২০১৫ সময়ঃ ৯:৫১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:

Fire-Stormবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে প্রতিনিয়ত কত রহস্যময় ঘটনাই না ঘটছে! কখনও কখনও প্রকৃতি এমন খেয়ালি আচরণ করে, যার কারণ খুঁজে পাওয়া মুশকিল।

প্রকৃতির রয়েছে অসীম শক্তি, যা কখনো সৃষ্টিশীল আবার কখনো ধ্বংসাত্বক। মানুষের অনুসন্ধানী মন এসব রহস্যময় ঘটনার সঙ্গে নিজের দেখার এবং অভিজ্ঞতার মিল খুঁজে পেতে চায়। কখনও কখনও পেয়েও যায়।

আগুন ঝড়ঃ নতুন এক ঝড়ের কথা শোনেন এবার। এই ঝড় হচ্ছে, আগুনের ঝড়। এই ঝড়ো আগুন এতোটাই শক্তিশালী যে এটি যেকোনো মুহূর্তে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে।

আগুন যখন জ্বলতে থাকে তখন বাতাসের অক্সিজেন শেষ হয়ে যায়। এতে ঐ জায়গা প্রায় বায়ুশূন্য হয়ে পড়ে। চারপাশ থেকে বিশুদ্ধ বাতাস এই শূন্যস্থানটি পূরণ করতে দৌড় মেরে আসতে থাকে, ফলে ঝড়ো হাওয়া তৈরি হয়। আগুন ঝড়ের অগ্নিশিখা ৫০ ফুট প্রশস্ত এবং প্রায় ৪০ তলা দালানের সমান উঁচু হতে পারে। সত্যিই ভয়াবহ তাই না?

Mysterioussurgeরহস্যজনক ঢেউঃ মনে করেন, আপনি সমুদ্রের ধারে বসে আছেন আর হঠাৎ করে বিশাল একটি উঁচু ঢেউ আপনার দিকে ধেয়ে আসছে। কি ভয়ংকর, তাই না? এই ঢেউ কিন্তু কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। খেয়ালি সমুদ্রের হঠাৎ এক পাগলামি।

সুনামি যখন আসে তখন সাগরের ভিতরে খুব ছোটো আকারে থাকে। তবে তীর পর্যন্ত আসতে আসতে তার আকার হয়ে দাঁড়ায় ধ্বংসাত্মক। সুনামির তবু পূর্বাভাস পাওয়া যায়, কিন্তু এই ঢেউ কোনোরকম পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই চলে আসে।

যে কোনো বড়ো জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে এই ঢেউ। এমন কি পরিষ্কার আবহাওয়াতেও হানা দিতে পারে এটি। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এর উৎপত্তির কারণ নিশ্চিত করে বলতে পারেন নি।

frogRainব্যাঙ বৃষ্টিঃ আকাশ থেকে বৃষ্টির পানি পড়বে এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু যদি ব্যাঙ পড়ে? কি ভয়ানক কথা! আকাশ থেকে ব্যাঙ পড়বে কেনো? কেউ বিমানে করে ব্যাঙ নিয়ে যেতে গিয়ে আকাশ থেকে ফেলেছে? অবশ্য এমনটিই ভেবেছিলেন সাইবেরিয়ার এক অধিবাসী যখন সে দেশের এক শহরে ব্যাঙের বৃষ্টি হয়েছিলো।

এই আজব ঘটনার কারণ হলো টর্নেডো। টর্নেডোর সময় বিভিন্ন জলাশয়ের পানি বাতাসের সঙ্গে পাক খেতে খেতে উপরে উঠে যায় এবং দূরের কোনো এলাকায় গিয়ে পড়ে। পানির সঙ্গে তো ব্যাঙ থাকবে এটাই তো স্বাভাবিক। এজন্য ব্যাঙ বৃষ্টি হতে দেখলে চমকে যাবেন না যেনো।

শিলা বৃষ্টিঃ আমরা যে শিলাবৃষ্টি দেখি তা দেখে ভালোই লাগে। কিন্তু এই শিলাবৃষ্টি প্রকৃতির অনেক বড় শক্তি। প্রায় ১০০ বছর আগে হিমালয়ে অনেক মানুষ রহস্যজনকভাবে মারা পড়েছিলো। মাত্র কিছুদিন আগে জানা গেছে, সেই দলটি শিলাবৃষ্টি দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় নাকি ফুটবলের সমান শিলা আকাশ থেকে পড়েছিলো!

Devouringfireআগুনের গোলাঃ বাজ পড়ার কথা তো জানেন সবাই। কিন্তু বাজ মাটিতে না পড়ে মাঝে মাঝে নেচেও বেড়ায়। হঠাৎ করে যদি দেখেন একটি আগুনের গোলা মাটির কয়েক ফুট উপরে ভাসছে!

তারপরে মাটিতে পড়ে পুরো আঙিনা জুড়ে নেচে বেড়ালো কিছুক্ষণ এবং হঠাৎ তীব্র বেগে উপরে উঠে বাতাসে মিলিয়ে গেলো! নিশ্চয় ভাবছেন ভুতের কাজ, তাই না? না, এও এক প্রকৃতির খেয়াল।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন যে, বজ্রপাত যখন হয় তখন সিলিকন নামের এক খনিজ নির্গত হয়। এই খনিজ থেকে এক ধরনের বুদবুদ বের হয়, যা আশেপাশের বাতাসের অক্সিজনকে পোড়ায়। এর ফলেই চোখের সামনে অমন ভুতুড়ে কান্ড ঘটতে দেখা যায়।

এরকম আরো কিছু নিউজঃ


## ৭০ হাজার কঙ্কালের মাঝে উপাসনা!

## যে লেকের পানি স্পর্শ করলেই মমি !

## যে হোটেলের কর্মীরা কখনও ছুটি নেয় না!

## জটিল চিকিৎসায় কীট-পতঙ্গের ব্যবহার!

## ছাগল জন্ম দিলো মানব শিশু !


প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G